এব্যাপারে পুনটেন্ডারে সকল ঠিকাদারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে আগের চেয়ে কয়েকগুণ রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, পাইকগাছা ও কয়রা সড়কের শিবসা নদীর ওপর নির্মিত শিবসা সেতু মামলাজনিত কারণে দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ টেন্ডার আহ্বান না করে বিগত বছরগুলোতে বার্ষিক ২৮ লাখ টাকা ইজারা মূল্য ধার্য করে টোল আদায় করে আসছিল। চলতি বছর কর্তৃপক্ষ ৩ বছর মেয়াদী টেন্ডার আহ্বান করলে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৪৮ লাখ টাকার মূল্য নির্ধারণ করে দরপত্র জমা দেয়। কিন্তু এতে সরকারের নির্ধারিত চাহিদা পূরণ না হওয়ায় পুনটেন্ডার আহ্বান করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, একদিকে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া এবং ৩০ জুন পূর্বের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ নিজেরা টোল আদায় না করে পূর্বের হার অনুযায়ী ঠিকাদার মিনারুলকে দিয়ে টোল আদায় অব্যাহত রেখেছেন। এতে করে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আবার অনেকেই বলছেন, একই সড়কে পার্শ্ববর্তী কয়রার চাঁদআলী ব্রিজ বিগত বছরে নূর এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২৮ লাখ টাকায় ইজারা গ্রহণ করে। চলতি ৩ বছর মেয়াদী টেন্ডারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আনার আলী দফাদার এন্টারপ্রাইজ ১ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার দরপত্র জমা দিলেও কর্তৃপক্ষ সেটা কাঙ্ক্ষিত মনে করেননি। ফলে সেখানে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ পরবর্তী টেন্ডার না হওয়া পর্যন্ত বর্তমানে নিজেরাই টোল আদায় করছে। একই সড়কে দুটি ব্রিজের টোল দুই নিয়মে আদায় করায় জনমনে নানা ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অনেকেই বলছেন, কর্তৃপক্ষ যদি চাঁদআলী ব্রিজের টোল নিজেরাই আদায় করতে পারে তাহলে শিবসা সেতুর টোল কেন ঠিকাদারকে দিয়ে আদায় করাচ্ছে।
এ ব্যাপারে শিবসা সেতুর টোল আদায়কারি ঠিকাদার মিনারুল ইসলাম বলেন, কর্তৃপক্ষ কাকে দিয়ে টোল আদায় করবেন এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। ‘আমাকে আদায় করতে বলেছে, তাই আমি আদায় করছি।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাস জানান, জনবল সঙ্কটের কারণে আগের ইজারাদারকে দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে এবং তিনি পূর্বে ধার্যকৃত ইজারা অনুযায়ী রাজস্ব জমা দিচ্ছেন।